ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি? ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ

বর্তমান সময়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ ও ইলেকট্রনিক্স ছাড়া কাজ করার কল্পনা  করা যায় না।ঘরের আলো থেকে শুরু করে কিচেনের মাইক্রোওয়েভ ওভেন, অফিসের কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন কিংবা বিদ্যুৎচালিত যানবাহন এইসব কিছুই বিদ্যুৎ ও ইলেকট্রনিক্স দিয়ে ব্যবহার করা হয়।

এই সকল বিদ্যুৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির পরিচালনার কারিগর হলো ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার এত বেশি যে শক্তি উৎপাদন থেকে শুরু করে অটোমেশন, টেলিকমিউনিকেশন, কম্পিউটার সিস্টেম  ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

আজকের এই আর্টিকেল আমরা আলোচনা করব, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি? ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ ইত্যাদি।

Table of Contents

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি শাখা।  যেখানে  বৈদ্যুতিক শক্তি, ইলেকট্রনিক্স, বৈদ্যুতিক সার্কিট এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নিয়ে গবেষণা, ডিজাইন করা, নির্মান করা হয়।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যুৎ উৎপাদন, সংরক্ষণ, সঞ্চালন এবং ব্যবহারের ওপর কাজ করে থাকে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল ক্ষেত্র গুলো হলো পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, টেলিকমিউনিকেশন, কন্ট্রোল সিস্টেম, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জেনারেটর ডিজাইন, পাওয়ার গ্রিড পরিচালনা এবং বৈদ্যুতিক ডিভাইসের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক কে?

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক হলো মাইকেল ফ্যারাডে (Michael Faraday) । তিনি বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর গবেষণা করেন।

মাইকেল ফ্যারাডে ইলেকট্রোম্যাগনেটিজম এবং ইলেকট্রোকেমিস্ট্রির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিকাশের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

মাইকেল ফ্যারাডে এর আবিষ্কার গুলো হলো: বৈদ্যুতিক মোটর, জেনারেটর এবং ট্রান্সফর্মার ইত্যাদি।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ কি

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ কি?

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ হলো বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন এবং ব্যবহারের তা  প্রক্রিয়া সম্পর্কে গবেষণা, ডিজাইন এবং বাস্তবায়ন করা। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বহুমুখী কাজ রয়েছে।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল কাজ হলো:

  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বিদ্যুৎ উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং ব্যবহার ব্যবস্থা ডিজাইন ও পরিচালনা করার কাজ করে। এছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ট্রান্সমিশন লাইন, সাবস্টেশন নিয়ে কাজ করে।
  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সার্কিট, মাইক্রোকন্ট্রোলার, মাইক্রোপ্রসেসর, সেন্সর, এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক উপাদান ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করে।
  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা কমিউনিকেশন সিস্টেম যেমন: টেলিকমিউনিকেশন, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (RF) ইঞ্জিনিয়ারিং, স্যাটেলাইট যোগাযোগ ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে।
  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা , রোবটিক্স, এবং কন্ট্রোল সিস্টেম এর ডিজাইন এর কাজ করে।
  • এছাড়া ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন : পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স এবং সিস্টেম কন্ট্রোল ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করে থাকে।

আরো পড়ুন: মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ? মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কি কি দক্ষতা থাকা প্রয়োজন?

একজন দক্ষ ও সফল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হতে হলে বিভিন্ন দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। যেমন:

  • এনালগ এবং ডিজিটাল সার্কিট নিয়ে কাজ করার দক্ষতা । সার্কিট ডিজাইন, বিশ্লেষণ এবং সমস্যার সমাধানে এক্সপার্ট হতে হবে।
  • C, Python, MATLAB এবং অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে।
  • বিভিন্ন ডিজাইন বা লেআউট করার জন্য CAD সফটওয়্যার এর ব্যবহার জানতে হবে। যেমন: AutoCAD, PSpice, Multisim
  • বিদ্যু ও ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির বিভিন্ন  সমস্যা সমাধান  করার জন্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির ব্যবহার জানতে হবে বিশেষ করে নতুন প্রযুক্তি যেমন:  IoT, AI,  Renewable Energy ইত্যাদি।
  • বিভিন্ন ম্যাথ মেক্সিক যেমন: Calculus, Linear Algebra,Electromagnetism,Mechanics ইত্যাদি জানতে হবে।
  • অবশ্যই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যৎ

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যৎ

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে পড়ার আগ্রহ বেশির ভাগ স্টুডেন্ট। পুরো বিশ্বে এই বিষয় নিয়ে পড়ার আগ্রহ বাড়ছে এবং সব জায়গায় পড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ইন্সিটিউট এর সংখ্যা ও বাড়ছে।

আধুনিক দুনিয়ায় সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কার গুলো বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। এছাড়াও মানবজীবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ইলেকট্রনিক্স ও বিদ্যুৎ।

এছাড়াও সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, এবং অন্যান্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন দিনে দিনে বাড়ছে। ফলে বিদ্যুৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির ব্যবহার ও চাহিদা অনেক বেশি।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবিষ্যৎ গড়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো :

  • Renewable Energy
  • ইলেকট্রিক যানবাহন (Electric Vehicles – EVs)
  • মাইক্রোগ্রিড ও স্মার্ট গ্রিড
  • মেডিকেল ইলেকট্রনিক্স ও বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) , ইত্যাদি।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং জব

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিদ্যুৎ এবং ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা।  ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জব হলো:

  • পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার
  • ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার
  • রোবোটিক্স ও অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ার
  • কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার
  • ইলেকট্রিক্যাল ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার
  • রিনিউএবল এনার্জি ইঞ্জিনিয়ার
  • মাইক্রোইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার , ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জব ।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেতন

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেতন নির্ভর করে কাজের যোগ্যতা ও ক্ষেত্রে উপর নির্ভর করে। আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেতন ভিন্ন হতে পারে।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেতন কেমন হতে পারে তা ধারণা দেওয়া হলো:

  • প্রথম পর্যায়: ২০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা
  • ৩-৪ বছর পর :৩৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা বা তার বেশি।
  • সিনিয়র -লেভেল: ৬০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা বা তারও বেশি

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেতন নির্ভর করবে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার উপর। আপনার যত বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা হবে তত বেশি আপনার বেতন হবে।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেসিক প্রশ্ন

প্রশ্নঃ ওহমের সূত্র কী?

উঃ  ওহমের সূত্র: কোন পরিবাহকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বৈদ্যুতিক প্রবাহ (I) এর মান ঐ পরিবাহকের ভোল্টেজ (V) এর সমানুপাতিক। যেখানে R হলো পরিবাহকের রেজিস্ট্যান্স।

প্রশ্নঃ AC (Alternating Current) এবং DC (Direct Current) এর মধ্যে পার্থক্য কী?

উঃ AC (Alternating Current) এবং DC (Direct Current) এর মধ্যে পার্থক্য হলো:
‌AC বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রবাহ পরিবর্তিত হয় ।
DC বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রবাহ একটি নির্দিষ্ট দিকেই থাকে।

প্রশ্নঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর (Power Factor) কী?

উঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর হলো আসল পাওয়ার এবং আপাত পাওয়ার এর অনুপাত। এটি  হিসাবে প্রকাশিত হয়। যা ভোল্টেজ ও কারেন্টের মধ্যকার কোণ।

প্রশ্নঃ ট্রান্সফরমার কী এবং কীভাবে কাজ করে?

উঃ ট্রান্সফরমার হলো  বৈদ্যুতিক ডিভাইস যা কোনো নির্দিষ্ট ভোল্টেজ থেকে অন্য ভোল্টেজে রূপান্তর করতে ব্যবহার করা হয়।  ট্রান্সফর্মার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশনের মাধ্যমে কাজ করে।

প্রশ্নঃ সিরিজ এবং প্যারালাল সার্কিটের মধ্যে পার্থক্য কী?

উঃ  সিরিজ সার্কিটে প্রতিটি উপাদান একটির পর পর  আরেকটি যুক্ত থাকে। ফলে সকল সার্কিটে একই প্রবাহ চলে। প্যারালাল সার্কিটে প্রতিটি উপাদান আলাদাভাবে ভোল্টেজ পায় এবং প্রবাহ  হয়।

প্রশ্নঃ ক্যাপাসিটর কী এবং কীভাবে কাজ করে?

উঃ ক্যাপাসিটর হলো একটি ডিভাইস যা বৈদ্যুতিক চার্জ সংরক্ষণ করে এবং দুইটি পরিবাহী প্লেটের মধ্যে একটি অন্তরক পদার্থ (ডাইইলেকট্রিক) থাকে।

প্রশ্নঃ 3-ফেজ এবং 1-ফেজ সাপ্লাই এর মধ্যে পার্থক্য কী?

উঃ 1-ফেজ সাপ্লাই  একক ভোল্টেজ তরঙ্গ দিয়ে কাজ করে।  যেখানে 3-ফেজ সাপ্লাইতে তিনটি ভোল্টেজ তরঙ্গ ব্যবহার করা হয় । যা একে অপরের থেকে 120 ডিগ্রি কোণে অফসেট থাকে।

প্রশ্নঃ কেন গ্রাউন্ডিং (Earthing) গুরুত্বপূর্ণ?

উঃ গ্রাউন্ডিং বা আর্থিং এর কাজ হলো বৈদ্যুতিক ডিভাইসগুলোতে যেকোনো অপ্রত্যাশিত কারেন্ট প্রবাহকে মাটিতে নির্গত করা।  যা ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

FAQ’S

প্রশ্নঃ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

উঃ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো একটি প্রকৌশল শাখা । যা বিদ্যুৎ, ইলেকট্রনিক্স  এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিজমের ব্যবহার  নিয়ে কাজ করে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যুৎ উৎপাদন, সংরক্ষণ,  এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ও সিস্টেমের ডিজাইন, উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের উপর কাজ করে।

প্রশ্নঃ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক কে?

উঃ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক হলো মাইকেল ফ্যারাডে  (Michael Faraday)।

প্রশ্নঃ পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শাখা?

উঃ হ্যাঁ, পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা।

শেষ কথা

আশা করি উপরোক্ত আর্টিকেল পড়ে আপনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় জ্ঞান ও ধারণা লাভ করতে পারবেন।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িত একটি প্রকৌশল শাখা। আমরা কোনো নি কোনো ক্রিজে ইলেকট্রনিক্স ব্যবহার করাচ্ছি।তাই বলা যায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি উজ্জ্বল পেশা।

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *