ই-কমার্স কি? ই-কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা

ই-কমার্স কি ই-কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা

বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে পরিবর্তন এনেছে। ইন্টারনেট ব্যবহার যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সহজ করছে, তেমনি ব্যবসার ক্ষেত্রে ও এনেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

আগে যেখানে পন্য বা পরিসেবা কেনার জন্য মার্কেট বা বাজারে যেতে হতো , সেখানে এখন ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পন্য বা পরিসেবা কেনা যাচ্ছে।

এই ধরনের অনলাইনে ব্যবসা করার প্রক্রিয়াকে ই-কমার্স বলা হয়। ইন্টারনেট ব্যবহার চালু হওয়ার পর থেকেই অনলাইন ব্যবসা করা হয়। তবে আগে তার জনপ্রিয়তা ছিল না। ২০০০ সাল থেকে তা অনেক অনেক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

বর্তমান সময়ে বিশ্বের ছোট -বড় সবধরনের ব্যবসা অনলাইনে করা হয়। অনলাইন ব্যবসার ফলে সময়, পরিশ্রম এবং অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।

আজকে এই আর্টিকেল আমরা জানবো, ই-কমার্স কি ? ই-কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা, ইত্যাদি।

ই-কমার্স ইতিহাস (সংক্ষেপে)

ই-কমার্স এর ইতিহাস শুরু হয়েছে ১৯৭০ সালে। ১৯৭০ সালে প্রথম ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ইলেকট্রনিক ডেটা ইন্টারচেঞ্জ (EDI) এবং টেলিফোন ব্যাঙ্কিংয়ের ব্যবহার করা হয়।

১৯৯১ সালে প্রথমবার ইন্টারনেট সাধারণ মানুষের কাছে মুক্ত করে দেওয়ার পর ই-কমার্স এর যাত্রা শুরু হয়।

১৯৯৪ সালে Netscape Navigator ব্রাউজার প্রকাশ হয়। যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেনকে সহজ করে তোলেছে । ১৯৯৫ সালে Amazon এবং eBay প্রতিষ্ঠিত করা হয়। যা ই-কমার্স বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

২০০০ সালে পেপ্যাল, আলিবাবা এবং অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের প্রকাশ হওয়ার পর এর মাধ্যমে ই-কমার্স আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

২০২০ সালের কোভিড-১৯ সময় ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার আরও বেশি হয় ।

ই-কমার্স কি ?

ই-কমার্স (E-commerce) হলো অনলাইনে আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি। ই-কমার্স এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পণ্য ও সেবা কেনা-বেচা, লেনদেন এবং তথ্য আদান-প্রদান করা হয়।

ই-কমার্স গ্ৰাহক ও ব্যবসায়ীদের জন্য আরো সহজ করে দিয়েছে। ই-কমার্সের মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনতে পারে ।

ই-কমার্স ব্যবহার করার মাধ্যমে পেমেন্ট ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেওয়া যায়। যেমন : মোবাইল ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড বা ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে।

ই-কমার্স এর সুবিধা যেমন : পণ্য অনেক রকমের, সময় সাশ্রয় এবং সহজ কেনাকাটা করা যায়।  ই-কমার্স বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

ই-কমার্স এর পূর্ণরুপ কি ?

ই-কমার্সের পূর্ণরূপ হলো ইলেকট্রনিক কমার্স (Electronic Commerce)।

ই-কমার্স শব্দটি ইলেকট্রনিক্স ও কমার্স শব্দ দুটি থেকে এসেছে। ইলেকট্রনিক্স অর্থ ডিজিটাল বা বৈদ্যুতিন এবং কমার্স অর্থ ব্যবসা বা বানিজ্য।

ই-কমার্স শব্দটি প্রথম ১৯৯০ সালে ব্যবহার করা হয়। তখন ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পন্য বিক্রি করা শুরু হয়।

ই-কমার্স কত প্রকার ও কি কি?

ই-কমার্স ৪ প্রকার। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধরন আরো বেশী হতে পারে। যথা:

১) B2B (Business to Business)

B2B হচ্ছে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্য একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রি করে থাকে। যেমন : একজন পাইকারি বিক্রেতা একজন খুচরা বিক্রেতা থেকে পণ্য সরবরাহ করে থাকে।

২) B2C (Business to Consumer)

B2C সবচেয়ে পরিচিত ব্যবসায়িক ধরন । যেখানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাসরি গ্রাহকের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রি করে। যেমন :  Amazon বা Daraz থেকে ক্রেতারা পণ্য কিনে থাকে।

৩) C2C (Consumer to Consumer)

C2C  মাধ্যমে ই-কমার্স একজন গ্রাহক আরেকজন গ্রাহকের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রি করে। উদাহরণস্বরূপ, OLX বা eBay।

৪) C2B (Consumer to Business)

একজন গ্রাহক কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে পন্য  বিক্রি করে। যেমন : একজন ফ্রিল্যান্সার কোনো কোম্পানির জন্য ডিজাইন বা কনটেন্ট তৈরি করে দেয়।

আরো পড়ুন : ঘরে বসে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম ( ১০ টি উপায়)

ই-কমার্স এর সুবিধা গুলো কি কি

ই-কমার্স এর সুবিধা গুলো কি কি ?

ই-কমার্স এর বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে। যা ব্যবসা ও গ্ৰাহকদের জন্য উপকারী। ই-কমার্স এর সুবিধা গুলো হলো:

✓ ই-কমার্সের মাধ্যমে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে পণ্য কেনা যায়। যা গ্রাহকদের জন্য অনেক সুবিধাজনক।

✓ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলোতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য অনেক সহজে পাওয়া যায়। গ্রাহকরা তাদের পছন্দ ব্যান্ড অনুযায়ী পণ্য বেছে নিতে পারে ।

✓ ই-কমার্স ব্যবসার জন্য খরচ কম হয়। যেমন : দোকান ভাড়া বা স্টোর ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন হয় না। ফলে বিক্রেতারা কম খরচে ব্যবসা  করতে পারে।

✓ ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা সহজেই আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভভ।

✓ ই-কমার্স সাইটে পণ্যের রিভিউ ও রেটিং দেখে গ্রাহকরা পন্য কেনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত গ্ৰহন করতে পারে। যা গ্ৰাহকদের কেনাকাটাকে আরও সহজ করে তোলে।

✓ ই-কমার্সে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট এর ব্যাবস্থা রয়েছে । যেমন : ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি । যা গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট করার জন্য আরো সহজ করে তোলে।

ই-কমার্স এর অসুবিধা গুলো কি কি ?

ই-কমার্স এর অনেক ধরনের অসুবিধা রয়েছে।  যা ব্যবসা ও গ্ৰাহকেদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। ই-কমার্স এর অসুবিধা গুলো হলো:

✓ ই-কমার্সে কেনাকাটার সময় পণ্য সরাসরি দেখা বা যাচাই করা সম্ভব হয় না। ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয় না।

✓ ই-কমার্সে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন : ক্রেডিট কার্ডের তথ্য বা পেমেন্ট ডিটেইলস ইত্যাদি, সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকতে পারে।

✓ পণ্য ফেরত দেওয়া বা রিফান্ড পাওয়া অনেক সময় জটিল হয় এবং এতে গ্রাহকদের বিভিন্ন অসুবিধা হয়।

✓ ই-কমার্সে পণ্য কেনার সময় ডেলিভারি চার্জ আলাদাভাবে দিতে হয়। যা অনেক সময় পণ্যের মোট খরচের থেকে বাড়িয়ে দিতে হয়।

✓ অনেক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ভুয়া বিক্রেতা বা জাল পণ্যের সমস্যা হয়। যার ফলে গ্রাহকরা প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে ।

✓ ই-কমার্স সাইটের প্রযুক্তি সমস্যার কারণে কেনাকাটা করতে অনেক ধরনের অসুবিধা হতে পারে। যেমন : ওয়েবসাইট ডাউন হওয়া, পেমেন্ট প্রসেসিং সমস্যা ইত্যাদি।

আরো পড়ুন : মাসে ৪০-৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়

ই-কমার্স এর শ্রেনিবিন্যাস

ই-কমার্স এর শ্রেনিবিন্যাস সাধারণত ব্যবসার ধরন , লেনদেনের ধরন ও প্রযুক্তি মডেলের উপর নির্ভর করে। যেমন:

1. লেনদেনের ধরন :

  • B2B (Business to Business)
  • B2C (Business to Consumer)
  • C2C (Consumer to Consumer)
  • C2B (Consumer to Business)
  • B2G (Business to Government)
  • G2C (Government to Consumer)
  • G2B (Government to Business)

2. ব্যবসায়িক মডেল :

  • প্রোডাক্ট বেসড ই-কমার্স
  • সার্ভিস বেসড ই-কমার্স
  • সাবস্ক্রিপশন বেসড ই-কমার্স
  • ড্রপশিপিং ই-কমার্স
  • মার্কেটপ্লেস ই-কমার্স

3. প্রযুক্তিগত মডেল :

  • ওয়েব-ভিত্তিক ই-কমার্স
  • মোবাইল ই-কমার্স (m-commerce)
  • সোশ্যাল ই-কমার্স
  • ভয়েস কমার্স
ই-কমার্স এর উদাহরণ

ই-কমার্স এর উদাহরণ

ই-কমার্স (E-commerce) বা ইলেকট্রনিক কমার্স হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য  ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।

কিছু জনপ্রিয় ই-কমার্স এর উদাহরণ হলো :

Amazon: অ্যামাজন হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম  বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম । যেখানে পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, বই,  সামগ্রীসহ নানার ধরনের পণ্য কেনা-বেচা করা হয়।

Flipkart: ফ্লিপকার্ট হচ্ছে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট। যা বিভিন্ন পণ্য যেমন : মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বই, পোশাক ইত্যাদি বেচাকেনা করে।

Daraz: দারাজ দক্ষিণ এশিয়ার ও  বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও এটির ব্যবহার অনেক। দারাজে বিভিন্ন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।

eBay: eBay হচ্ছে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেখানে ক্রেতারা নিলামের মাধ্যমে পণ্য কিনতে বা বিক্রি করে থাকে।

Alibaba: আলিবাবা হচ্ছে চীনের  বৃহৎ ই-কমার্স ওয়েবসাইট। যেখানে পাইকারি এবং খুচরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনা-বেচা করা হয়।

আরো পড়ুন : ব্লগিং কি ? ব্লগিং কিভাবে শুরু করবো

ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ম

ই-কমার্স ব্যবসার জন্য বিভিন্ন নিয়ম – আইনি ইত্যাদি অনুসরণ করতে হয় । ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ম হলো:

ব্যবসা নিবন্ধন: যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসা নিবন্ধন প্রয়োজন। যেমন:ট্রেড লাইসেন্স,কর নিবন্ধন (TIN),ভ্যাট নিবন্ধন (BIN)

কনজিউমার রাইটস: কনজিউমার রাইটস আইন মেনে চলতে হবে । পণ্য  সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ বা সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং গ্ৰাহকদের তথ্য গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।

প্রোডাক্ট রিটার্ন : গ্রাহককে পণ্য ফেরত এবং অর্থ ফেরত দেওয়ার  নিময় থাকতে হবে। যা ওয়েবসাইটে লেখা করা থাকবে।

বিক্রয় ও ডেলিভারি: পণ্যের ডেলিভারি সময়, চার্জ এবং প্রসেস সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হবে সঠিক সেবার নিশ্চিত করতে হবে।

অনলাইন পেমেন্ট : গ্রাহকদের জন্য অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে। যেমন: বিকাশ, রকেট, নগদ, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, ইত্যাদি।

আইনগত নিয়ম: বাংলাদেশের ই-কমার্স নীতিমালা মেনে চলতে হবে ।যেমন:  ই-কমার্স নীতিমালা ২০১৮।

সাইবার সিকিউরিটি : সাইবার ক্রাইম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থা করতে হবে। এবং SSL সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্ৰহন করতে হবে। ইত্যাদি

বাংলাদেশে ই-কমার্স সমস্যা ও সম্ভাবনা

বাংলাদেশে ই-কমার্স সমস্যা ও সম্ভাবনা

বাংলাদেশে ই-কমার্স দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে  যা ই-কমার্স সমস্যা ও সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশে ই-কমার্স সমস্যা ও সম্ভাবনা হলো:

বাংলাদেশে ই-কমার্স সমস্যা

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রতারণা ও ভুয়া পণ্যের সমস্যা থাকতে পারে। যা গ্রাহকদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করে।

দেশের প্রত্যেক অঞ্চলে পণ্য ডেলিভারি নিশ্চিত করা এখনও একটি কঠোর বিষয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ঠিক সময়ে পণ্য পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে এবং কখনও কখনও ডেলিভারি সার্চ  বেশি হয়।

সাইবার অপরাধ এর  জন্য এখনও সঠিক বা পর্যাপ্ত  ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে।

অনেক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা হয় না। যার ফলে গ্রাহকরা নিম্নমানের পণ্য পেয়ে থাকে। যা গ্রাহকদের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ইত্যাদি

বাংলাদেশে ই-কমার্স সম্ভাবনা

দেশে দিন দিন বেড়ে যাওয়া ইন্টারনেটে ব্যবহারকারী এবং স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ই-কমার্সের জন্য বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করছে। ফলে দিন দিন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ক্রেতা ও বিক্রেতা বাড়ছে।

বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি মোবাইল পেমেন্টের  কারণে অনলাইন পেমেন্ট করা সহজ হচ্ছে। যা ই-কমার্স ব্যবসার সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে।

দেশের যেকোনো স্থানে দ্রুত পন্য ডেলিভারি করা যায়।

ই-কমার্সের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তারা কম পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে পারছে। ইত্যাদি

FAQ’S

প্রশ্নঃ ই-কমার্স কি?

উঃ ই-কমার্স (E-commerce) বা ইলেকট্রনিক কমার্স হলো অনলাইন ব্যবসায়িক পদ্ধতি । যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা কেনা-বেচা করা হয়। ই-কমার্স এর মাধ্যমে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে লেনদেন  করে।

প্রশ্নঃ ই-কমার্স বলতে কি বুঝায়?

উঃ ই-কমার্স বলতে বোঝায় ইলেকট্রনিক কমার্স বা অনলাইন ব্যবস। যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য  ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।ই-কমার্স হচ্ছে একটি ডিজিটাল ব্যবসায়িক পদ্ধতি। যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা অনলাইনে লেনদেন এবং যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে। ই-কমার্সের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য যেমন : পোশাক, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, বই এবং সেবা যেমন:  টিকেট, কোর্স বা সফটওয়্যার ইত্যাদি অনলাইনে কেনা বা বিক্রি করা যায়।

প্রশ্নঃ ই-কমার্স এর পূর্ণরূপ কি ?

উঃ ই-কমার্স (E-commerce) এর পূর্ণরূপ হলো  ইলেকট্রনিক্স কমার্স ( Electronic Commerce )।

প্রশ্নঃ ই-কমার্স কত প্রকার ও কি কি ?

উঃ ই-কমার্স সাধারণ ৪ প্রকার। যথা:
১) B2B (Business to Business)
২) B2C (Business to Consumer)
৩) C2C (Consumer to Consumer) এবং
৪) C2B (Consumer to Business)

প্রশ্নঃ ই-কমার্স সাইট কি ?

উঃ ই-কমার্স সাইট হলো  অনলাইন ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট। যেখানে পণ্য  কেনা-বেচা করা হয়। ই-কমার্স সাইট গুলোতে বিক্রেতারা তাদের পণ্য কেমন হবে তার বিবরণ, মূল্য, ছবি, এবং অন্যান্য তথ্য দেয়। এবং আর ক্রেতারা সেগুলি দেখে তাদের পছন্দ মতো  পন্য অর্ডার করে । Amazon, eBay, Daraz এবং Flipkart হচ্ছে ই-কমার্স এর জনপ্রিয় সাইট।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ক্যাশ অন ডেলিভারি চালু করে কোন ই-কমার্স ?

উঃ ধারণা করা যায় বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ক্যাশ অন ডেলিভারি চালু করে Daraz। ২০১২ সালে দারাজ বাংলাদেশে ক্যাশ অন ডেলিভারি চালু করে।

শেষ কথা

আশা করি উপরোক্ত আর্টিকেল পড়ে আপনি ই-কমার্স এর বিষয়ে ধারণা ও জ্ঞান লাভ করতে পারবেন ।

বর্তমান সময় ও যুগ এর অনুযায়ী ই-কমার্স একটি  উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। আপনি চাইলে ই-কমার্স এর মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *