টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কি? টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যৎ
পোশাক বা কাপড় মানবসভ্যতার দৈনন্দিন জীবনে যাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় অংশ। কাপড় তৈরি করা অন্যতম প্রধান ভূমিকা হলো মানুষের চাহিদা পূরণ করা।
মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পোশাক বা বস্ত্র। বর্তমান সময়ে বা আধুনিক যোগে মানুষ শুধুমাত্র মৌলিক চাহিদার জন্য কাপড় বা পোশাক ব্যবহার করে না।
ফ্যাশন, আরাম, সৌন্দর্য, ডিজাইন এবং ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী ব্যবহার করে। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপক প্রচার হচ্ছে এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফ্যাশন এর প্রচার কাপড়ের চাহিদাকে বাড়িয়ে তুলেছে।
নতুন নতুন কাপড় বা পোশাকের ডিজাইন, রং, এবং কাপড়ের ধরন প্রতিনিয়ত বাজারে আসছে। এবং তা বাজার , মার্কেটের ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
এছাড়া, মৌসুমি পরিবর্তন এবং বিভিন্ন উৎসবের সময় কাপড়ের চাহিদা বিশেষভাবে বেড়ে যায়।
উপরোক্ত সব কাপড় এবং পোশাক এর ডিজাইন, উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, রং, মৌসুমী ও উৎসব অনুযায়ী কাজ গুলো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা করে থাকে।
তাহলে ভাবুন এই আধুনিক সময় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব কত বেশি।
আজকে এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কি? টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যৎ।
Table of Contents
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কি?
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি শাখা বা সেক্টর। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ হলো কাপড়, তন্তু এবং বস্ত্র সংশ্লিষ্ট পণ্য গুলির উৎপাদন, ডিজাইন, উন্নয়ন এবং প্রক্রিয়াজাত করা।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কাপড়তৈরির কাঁচামাল (যেমন : প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম) থেকে কাপড়ের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণ করে থাকে।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল কাজ হলো টেকসই, আরামদায়ক ও উন্নত মানের কাপড় তৈরি করে । যা বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে থাকে।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা মূলত ফ্যাব্রিক উৎপাদন প্রযুক্তি, তন্তু বিজ্ঞান এবং আধুনিক ফিনিশিং নিয়ে কাজ করে।
তন্তু বা ফাইবার হলো বিভিন্ন কাপড়ের ভিত্তি এবং এটি হতে পারে প্রাকৃতিক (যেমন: তুলা, পাট, রেশম) অথবা কৃত্রিম (যেমন: নাইলন, পলিয়েস্টার)।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা উপরোক্ত উপকরণ গুলির গুণগত মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের তন্তু বৈশিষ্ট্য উন্নত করতে গবেষণা ও পরিক্ষার করেন।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কাপড়ের ডিজাইন এবং রঙ। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাপড়ের নতুন ডিজাইন, রঙ করা।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শুধুমাত্র ফ্যাশনের জন্যই নয়। বরং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তিগত এবং বস্ত্র উৎপাদন এর ক্ষেত্রে হিসেবে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক কে?
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক বলা হয় স্যার রিচার্ড আর্করাইটকে (Sir Richard Arkwright) কে ।
স্যার রিচার্ড আর্করাইটকে (Sir Richard Arkwright) ১৮শ শতাব্দীতে শিল্প বিপ্লবের সময় টেক্সটাইল শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
স্যার রিচার্ড আর্করাইটকে (Sir Richard Arkwright) আর্করাইট স্পিনিং ফ্রেম বা ওয়াটার ফ্রেম উদ্ভাবন করেন। যা কাপড় তৈরির অটোমেশন আনে এবং টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বিপ্লব ঘটায়।
কারখানা ব্যবস্থা আধুনিক টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভিত্তি স্থাপন করে।এজন্যই স্যার রিচার্ড আর্করাইটকে (Sir Richard Arkwright) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক বলা হয়।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ কি ?
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল কাজ হলো, কাপড় ও বস্ত্র উৎপাদন, ডিজাইন, রক্ষণাবেক্ষণ , উন্নয়ন এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে উন্নতমানের টেকসই কাপড় তৈরি করা হয়।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ হলো:
- প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম তন্তু (যেমন তুলা, পলিয়েস্টার) নিয়ে গবেষণা করা এবং উচ্চমানের সুতা ও কাপড় তৈরি করা।
- ফাইবার বা তন্তু থেকে সুতা এবং সুতাকে কাপড়ে রূপান্তর করার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা। যেমন : স্পিনিং, নিটিং, এবং বুনন।
- মানুষের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ডিজাইন, রঙ এবং টেক্সচার তৈরি করা । যা ফ্যাশন এবং ব্যবহারিক চাহিদা ও প্রয়োজন মেটাতে পারে।
- কাপড়ের গুণগত মান, টেকসইতা এবং ব্যবহার ও সৌন্দর্য বাড়াতে ফিনিশিং করা । যেমন : ব্লিচিং, ডাইং এবং প্রিন্টিং করা।
- তৈরি করা কাপড়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা।
- টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির উৎপাদনশীলতা, গুণগত মান এবং বাজারের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান পালন করে।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কি কি দক্ষতা প্রয়োজন ?
একজন সফল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন দক্ষতা থাকা প্রয়োজন কাপড় তৈরি করা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর যা যা দক্ষতা প্রয়োজন :
- টেক্সটাইল রিলেটেড যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি মেশিনের সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। যেমন: মেশিন অপারেশন, অটোমেশন সিস্টেম।
- ফাইবার বা তন্তু ,পলিমার এবং টেক্সটাইল ব্যবহার এর জ্ঞান থাকতে হবে। এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ধারণা যেমন : কেমিস্ট্রি ও পদার্থবিজ্ঞান এর জ্ঞান থাকতে হবে।
- উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বা নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে সমস্যা হলে দ্রুত ও কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষমতা ও বুদ্ধি থাকা জরুরি।
- ফ্যাশনের ট্রেন্ড এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন এবং অভিনব ডিজাইন তৈরি করার দক্ষতা থাকতে হবে।
- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়ার ডেটা বিশ্লেষণ এবং ডিজাইন সফটওয়্যার (যেমন CAD) ব্যবহার জানতে হবে।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা হলো:
এইচএসসি পাস করতে হবে, আপনাকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাস করতে হবে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিত এই তিনটি বিষয় আপনাকে মূল ফোকাস দিতে হবে। কারণ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভর্তির জন্য এই বিষয়গুলিতে ভালো ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিতে ভালো নম্বর (সাধারণত GPA ৪.০০ বা তার বেশি) পেতে হবে। গণিত এবং বিজ্ঞানে জ্ঞান থাকা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এইচএসসি ( উচ্চ মাধ্যমিক) পরিক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন।
ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
- যদি আপনি উচ্চ মাধ্যমিক না করে সরাসরি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয এর জন্য ক্যারিয়ার গড়তে চান।তাহলে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারেন।
- ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে ৪ বছর মেয়াদি একটি কোর্স। SSC পাস করার পর বিভিন্ন টেক্সটাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যায়।
আরো পড়ুন: ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কী ? কিভাবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হবেন
বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো স্নাতক ডিগ্রি । এই এই ডিগ্রি মেয়াদ সাধারণত ৪ বছর হয় । এবং এই ডিগ্রি টেক্সটাইল ফাইবার, কাপড় উৎপাদন, টেক্সটাইল প্রযুক্তি, ডাইং ও ফিনিশিং এবং গার্মেন্টস তৈরির করা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে শেখানো হয়।
বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তির যোগ্যতা
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করতে হবে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিতে ভালো ফলাফল করতে হবে (সাধারণত GPA ৪.০০ বা তার বেশি)।
বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত এবং ইংরেজির ওপর ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে।
বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর যে যে বিষয়ের উপর আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারবেন। বিষয়বস্তু গুলো হলো:
- ফাইবার টেকনোলজি
- স্পিনিং টেকনোলজি
- টেক্সটাইল কেমিস্ট্রি
- ফ্যাশন ডিজাইন এবং মার্কেটিং
- ডাইং এবং ফিনিশিং টেকনোলজি
- উইভিং এবং নিটিং টেকনোলজি
- গার্মেন্টস টেকনোলজি
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার
বাংলাদেশ, ভারত, চীন, এবং ভিয়েতনাম দেশ গুলোতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্যারিয়ার এর গুরুত্ব অপরিসীম। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ অনেক এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ধরনের পেশা রয়েছে।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার এর বিভিন্ন দিক হলো:
- গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি (পোশাক শিল্প)
- টেক্সটাইল মিল এবং ফ্যাক্টরি
- টেক্সটাইল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (R&D)
- টেক্সটাইল কেমিস্ট্রি এবং ডাইং
- টেক্সটাইল মেশিনারি এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট
- শিক্ষা এবং গবেষণা
- উদ্যোক্তা (Entrepreneurship)
বর্তমান সময়ে পোশাক বা বস্ত্র মানুষের দৈনন্দিন জীবনে চাহিদার মধ্যে অন্যতম প্রয়োজনীয় চাহিদা। বিশ্বের সকল জায়গায় পোশাক ও বস্ত্রের সাথে বেড়েছে ফ্যাশন ও সৌন্দর্য।
এই সকল ধরনের কাজের জন্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্যারিয়ার হিসেবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব অপরিসীম।
সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তালিকা
সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর নামের তালিকা:
- বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (BUTEX), ঢাকা
- চিটাগাং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম
- মাওলানা ভাসানী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টাঙ্গাইল
- নওগাঁ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নওগাঁ
- পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পাবনা
- ঢাকা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঢাকা
- বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী
- রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, রাঙ্গামাটি
- সিলেট টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সিলেট
- বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল
- কুমিল্লা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কুমিল্লা
- যশোর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, যশোর
FAQ’S
প্রশ্নঃ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা?
উঃ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা হলো:
• HSC (উচ্চ মাধ্যমিক) পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে ।
• উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয় এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিন।
• BUTEX বা অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে ।
• এইচএসসি করার পর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ডিপ্লোমা করতে পারবেন। ডিপ্লোমা করার জন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে পারেন।
প্রশ্নঃ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
উঃ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি শাখা বা সেক্টর। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ হলো কাপড়, তন্তু এবং বস্ত্র সংশ্লিষ্ট পণ্য গুলির উৎপাদন, ডিজাইন, উন্নয়ন এবং প্রক্রিয়াজাত করা।
প্রশ্নঃ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ কি ?
উঃ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা। যেখানে টেক্সটাইল বা বস্ত্রশিল্পের বিভিন্ন উপাদান ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হয়। একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কাঁচামাল থেকে শুরু করে তৈরি পণ্য পর্যন্ত পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়ার উন্নয়ন, গবেষণা এবং মান নিয়ে কাজ করে।
শেষ কথা
আশা করি উপরোক্ত আর্টিকেল পড়ে আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে জ্ঞান ও ধারণা লাভ করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্বে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব অনেক। তাই আপনার ভালো ক্যারিয়ার হিসেবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অন্যতম ভালো দিক।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।