ডিজিটাল মার্কেটিং কী? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ
কোনো কোম্পানি, ব্র্যান্ড, পন্য, সার্ভিস ইত্যাদি সবার কাছে পৌঁছানোর জন্য মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আগে মার্কেটিং রেডিও, টিভি চ্যানেল, বড় বড় পোস্টার, মাইকিং এর মাধ্যমে করা হতো।
সময়ের সাথে সবকিছু পরিবর্তন হচ্ছে , তার সাথে পরিবর্তন হয়েছে মার্কেটিং এর ধরন। এখন মার্কেটিং এর জন্য এত কষ্ট করতে হয় না। মার্কেটিং এর ধারনা থাকলে নিজেই ঘরে বসে ফেসবুক , ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম আরো বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন।
বর্তমান বিশ্বে জনগণ এর সংখ্যা ৮.১ বিলিয়ন। এর মধ্যে ৯৬.৩% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ৬২.৬। এক্টিভ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ৮০.৮%। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করে কোম্পানি, ব্র্যান্ড, পন্য, কে আরো সমৃদ্ধ করা হচ্ছে।
এই আর্টিকেল এ আমি আপনাকে জানাবো, ডিজিটাল মার্কেটিং কী ? ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার কী কী ? ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কী ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা।
Table of Contents
ডিজিটাল মার্কেটিং কী?
ডিজিটাল মার্কেটিং পন্য বা সার্ভিস প্রচারের একটি প্রক্রিয়া। ডিজিটাল প্রযুক্তি, টুলস, সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে যেকোনো ধরনের পন্য প্রচারণা কে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পন্য বা সার্ভিস তাদের গ্ৰাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়। এবং কোম্পানি বা ব্র্যান্ড তাদের পন্য বা সার্ভিস বিক্রি করে থাকে।
মূলত, মার্কেটিং হলো পণ্য বা সার্ভিস কাস্টমার এর কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা এবং তাদের কাছে পণ্য বা সার্ভিস টি পৌঁছিয়ে দেয়া। যেনো কাস্টমার পণ্য বা সার্ভিস টি কিনতে আগ্রহী হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কী কী ?
অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে বা শিখতে চান । কিন্তু বুঝতে পারছেন না কীভাবে শুরু করবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে কী কী বিষয় সম্পর্কিত। আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর টা অনেক বড়। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর এ অনেক গুলো পার্ট রয়েছে। সবগুলো পার্ট মিলে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে একটি সেক্টর।
ডিজিটাল মার্কেটিং প্রধানত ৮ প্রকার যথা:
১) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
২) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
৩) পে পার ক্লিক (Pay-per-click)
৪) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing)
৫) কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
৬) মোবাইল মার্কেটিং ( Mobile Marketing )
৭) ইমেইল মার্কেটিং (E-mail Marketing)
৮) মার্কেটিং এনালাইটিক্স (Marketing Analytics)
আরো পড়ুন : মোবাইল দিয়ে সহজেই অনলাইন ইনকাম
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কী?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটে এর পেইজ গুলো প্রথম স্থানে নিয়ে আসার জন্য কৌশল।
সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট সহজেই সবার কাছে পৌঁছে এবং ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করে।
SEO হচ্ছে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর সবচেয়ে বেশি কার্যকরী উপায়। অর্গ্যানিক ভাবে এবং কম খরচে অধিক পরিমাণে ভিজিটর ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারবেন, এসইও করে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) হলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন: YouTube, Twitter, Instagram, Facebook, LinkedIn, TikTok ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক পন্য, ব্যান্ড, ওয়েবসাইট ইত্যাদি প্রচার করার কৌশল।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) এর মাধ্যমে আপনি আপনার পন্য বা ব্র্যান্ড গ্ৰাহকের কাছে পৌঁছতে পারবেন এবং আপনার ব্যবসায় অনেক অনেক গ্ৰাহক বৃদ্ধি পাবে।
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটাররা স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং বেশি পছন্দ করে থাকেন। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া এখন বেশিরভাগ মানুষই ব্যবহার করে থাকে এবং বেশ কিছু তথ্য মতে প্রায় ৪৫% মানুষ স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে পন্য কিনার জন্য বা পন্য সম্পর্কে জানার জন্য।
পে পার ক্লিক (pay-per-click) কী?
পে পার ক্লিক (pay-per-click) হলো অনলাইন বিজ্ঞাপন মডেল। যেখানে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা দাতা কে প্রতি ক্লিক এর জন্য টাকা দিতে হয়।
বিজ্ঞাপনদাতা কে প্রথমে একটি এড তৈরি করতে হয়। এডটি তে ক্লিক করলে কোনো ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের পেইজে নিয়ে যাবে।
বিষয়টি আরেকটু ক্লিয়ার করি চলুন। মনে করুন আপনি একটি এড বা বিজ্ঞাপন তৈরি করলেন। আপনি চাচ্ছেন যে এড দেখলে আপনি টাকা দিবেন না বরং যখন কেউ আপনার এডটিতে ক্লিক করবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে বা ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার পন্য বা সার্ভিস দেখবে।
তখন প্রতি ক্লিকের জন্য একটা নির্দিষ্ট টাকা দিবেন। পন্য বা সার্ভিস এর বিক্রয় বাড়াতে এটা খুবই ভালো এবং ফলপ্রসূ বা সফলতম একটি প্রক্রিয়া।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing) কী?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing) কোনো ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পন্য প্রমোট বা বিক্রি করাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing) বলে।
একজন এফিলিয়েট অন্য কোম্পানির পন্য বা পরিষেবা বিক্রির মাধ্যমে ইনকাম করে।
অর্থাৎ আপনি অন্য একটি কোম্পানির পন্য বিক্রি করে দিবেন এর বিনিময়ে তারা আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিবে।
এটা হতে পারে প্রতিটা পন্য বিক্রি করে দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট টাকা, আবার হতে পারে নির্দিষ্ট % লাভ। ধরুন, আপনি ১০০০ টাকার একটি পন্য বিক্রি করে দিলেন, আপনাকে পন্যটির ১০% লাভ দিবে।
এটি ভালো একটি প্রক্রিয়া এতে কোম্পানির বিক্রয় বেড়ে যায় এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা ও পন্য বিক্রি করে দিয়ে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারে।
কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing) কী?
কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing) হলো কন্টেন্ট এর মাধ্যমে কোনো ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান এর পন্য প্রচার করা। কন্টেন্ট মার্কেটিং গুলো হলো:
- Blog Post
- Image
- Web Page
- Facebook Page
- E-book
- Book
- Podcast
- Video & Audio etc
যেকোনো ডিজিটাল পন্য প্রচার করতে কন্টেন্ট এর প্রয়োজন অপরিসীম। কনটেন্ট মার্কেটিং এর জন্য অবশ্যই কন্টেন্ট আকর্ষণীয় হতে হবে।
কন্টেন্ট এ পন্য বা সার্ভিসের বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে হয়। এতে ভিজিটর পন্যটি কিনলে কি লাভ, কি সুবিধা পাবে, পন্যটি কেনো কিনবে, কেনো আপনার থেকেই পন্যটি কিনবে ইত্যাদি বিষয়ে জানতে পারবে। যার ফলে ভিজিটর পন্যটি কিনতে আগ্রহী হবে।
তবে আবারো বলে নিচ্ছি এর জন্য আপনার কনটেন্ট এর মান ভালো হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কোনো রকমে একটা কনটেন্ট বানিয়ে রাখলে, ভিজিটর উল্টো আপনার পন্য কিনতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
মোবাইল মার্কেটিং ( Mobile Marketing ) কী?
মোবাইল মার্কেটিং ( Mobile Marketing ) এর মাধ্যমে বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস দিয়ে পন্য বা পরিষেবা পৌঁছানো হয়।
বর্তমান সময়ে প্রত্যেক এর হাতে হাতে মোবাইল ডিভাইসটি রয়েছে। তাই পন্য বা পরিষেবা প্রচার এর জন্য মোবাইল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন হলো মোবাইল মার্কেটিং কীভাবে করবেন? মোবাইল মার্কেটিং করতে পারেন SMS পাঠিয়ে। আবার আপনার কোম্পানির মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে, এবং সেই অ্যাপ এ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দিয়ে।
ইমেইল মার্কেটিং (E-mail Marketing) কী?
কোনো কোম্পানি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পন্য বা পরিষেবা ইমেইল মাধ্যমে পাঠিয়ে, মার্কেটিং করাকে ইমেইল মার্কেটিং (E-mail Marketing) বলে।
ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানো, পন্য বিক্রি বাড়ানোর জন্য এবং ক্লাইন্ট বা গ্ৰাহকের সাথে দীর্ঘ সময়ের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ইমেইল মার্কেটিং করা হয়।
ইমেইল মার্কেটিং এর ফলে ভিজিটর বা কাস্টমার কয়েক গুণ বাড়ানো যায়।
ধরুন, আপনি একটি পন্য আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করলেন, সেটা ইমেইল করে মানুষকে জানালেন। এমন করে নতুন নতুন পন্য যুক্ত করলেন এবং মানুষকে জানালেন। এতে করে তারা আপনার পন্য সম্পর্কে প্রতিনিয়ত জানতে পারবে এবং প্রয়োজনীয় পন্য কিনতে পারবে।
মূলত তারা প্রতিনিয়ত আপনার আপডেট পাবে এবং পন্য কিনতে আগ্রহী হবে।
মার্কেটিং এনালাইটিক্স (Marketing Analytics) কী?
ডেটা এবং পরিসংখ্যান এর মাধ্যমে মার্কেটিং বিশ্লেষণ করাকে মার্কেটিং এনালাইটিক্স (Marketing Analytics) বলে।
কোম্পানি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং এর কৌশল ও কাজ উন্নতি ও বিনিয়োগ করতে মার্কেটিং এনালাইটিক্স করা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
এখন এর সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অনেক, বলতে গেলে সকলেই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
তাই অনলাইনে পন্য বা পরিষেবা প্রচার করলে সকলের কাছে দ্রুত তার সম্পর্কে জেনে যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পন্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এবং দ্রুত পন্য বিক্রি করতে সাহায্য করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যে আপনি এক দেশের পন্য অন্য দেশে ঘরে বসেই প্রচার করতে পারবেন। তাহলেই ভাবুন ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কতখানি।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কী?
ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং ভবিষ্যতে এর ব্যবহার আরো হবে।
আধুনিক প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার এর ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর নতুন নতুন সম্ভাবনা বেড়ে চলেছে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি গুলো গ্ৰাহকদের কাছে তাদের পন্য বা সার্ভিস প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকে।
বর্তমানে প্রায় সকলেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM), মোবাইল মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং ,কন্টেন্ট মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। যা গ্ৰাহকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
আপনি যদি এখন থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে স্কিল অর্জন করেন তাহলে এটি আপনার ভবিষ্যতের জন্য ভালো দিক। কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং সুবিধা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফলে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের পন্য বা পরিষেবা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফলে পন্য কে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু গ্রাহক গোষ্ঠীর উপর ফোকাস করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো হলো:
- অনলাইন প্রচার
- বিশ্বব্যাপীর কাছে প্রচার
- টার্গেট অডিয়েন্স
- ইন্টারেক্টিভিটি
- কম খরচে প্রচার
- ব্যাক্তিগত মার্কেটিং
- পন্য বিক্রি বৃদ্ধি
- রিয়েল টাইম ফলাফল
- গ্ৰাহকের সন্তুষ্টি অর্জন
একটি নতুন ব্যবসা শুরু করলে এতে ইনভেস্টমেন্ট বেশি থাকে না । ফলে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের পন্য টিভি চ্যানেল ইত্যাদি প্রচার করতে পারেন না। তাদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। খুবই অল্প বাজেট দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পন্য বা সার্ভিস প্রচার করতে পারবে।
FAQ’S
প্রশ্নঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি ?
উঃ ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইন বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াই প্লাটফর্ম পন্য বা সেবা প্রচার ও মার্কেটিং করার ডিজিটাল প্রক্রিয়া।
প্রশ্নঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি ?
উঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল কাজ হলো ডিজিটাল বা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার লক্ষ্যবস্তু গ্ৰাহকদের কাছে পন্য প্রচার করা ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ গুলো হলো:
1. ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়ানো
2. লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকদের কাছে পন্য প্রচার করা
3. ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানো
4. লিড সংগ্রহ ও কনভার্সন করা
5. গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি ও বজায় রাখতে সাহায্য করে
6. বিক্রয় বাড়ানো
প্রশ্নঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয় ?
উঃ ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে অনেক বড় একটি সেক্টর। ডিজিটাল মার্কেটিং এ বিভিন্ন বিষয় শেখানো হয়। যেমন:
1. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
2. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)
3. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
4. কনটেন্ট মার্কেটিং
5. ইমেইল মার্কেটিং
6. পে-পার ক্লিক (PPC)
7. গুগল অ্যানালিটিক্স
8. এফিলিয়েট মার্কেটিং
9. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
10. মোবাইল মার্কেটিং
11. ভিডিও মার্কেটিং
12. কনভার্সন রেট অপ্টিমাইজেশন (CRO)
13. ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি
14. অনলাইন ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
প্রশ্নঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান স্তম্ভ কয়টি?
উঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান স্তম্ভ মোট ৬টি। যথা :
1. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)
2. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
3. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
4. কনটেন্ট মার্কেটিং
5. ইমেইল মার্কেটিং
6. পে-পার ক্লিক (PPC)
প্রশ্নঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়
উঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিভিন্ন উপায় ও মাধ্যম রয়েছে। যেমন:
অনলাইন কোর্স: 10 Minute School, Bohubrihi ,eShikho, Creative IT Institute , Udemy (বাংলা কোর্স) ,Learning Bangladesh
ইউটিউব ( ফ্রি টিউটোরিয়াল) : 10 Minute School, Digital Scholar Bangla ,Shikhbe Shobai , Bangla Digital Marketing, Sorobindu
শেষ কথা
আশাকরি উপরোক্ত আর্টিকেল পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আপনার আর কোনো সমস্যা নেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার বা আপনার ক্লায়েন্ট এর পন্য বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে সাহায্য করবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল অর্জন করতে চাইলে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করবেন। বলে রাখা ভালো, ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিযোগিতা অনেক। তাই ভালো ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্কিল অর্জন করবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে আপনার টেকনিক্যাল নোলেজ কাজে লাগাতে হবে। তবেই আপনি একজন সফল মার্কেটার হতে পারবেন।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।