সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি? সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা। প্রাচীন কাল থেকে মানবসভ্যতাকে এগিয়ে ও উন্নত করার জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংরা তাদের নকশা, পরিকল্পনা এবং নির্মাণ কাজের মাধ্যমে বর্তমানে সময় আধুনিক সকল অবকাঠামো যেমন: সড়ক, সেতু, জল ব্যবস্থাপনা, বিল্ডিং এবং অন্যান্য সুবিধাগুলো পাচ্ছি ।
আজকে এই আর্টিকেল আমরা জানবো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ? সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবো।
Table of Contents
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি?
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি প্রাচীন শাখা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংরা মূলত কাঠামো বা অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন, ডিজাইন, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্র। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে মানবজীবনের অবকাঠামো বা কাঠামো ও সমাজ উন্নয়নে অনেক অনেক অবদান পালন করে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা রাস্তা, সেতু, বিল্ডিং, বিমানবন্দর, ড্যাম, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, এবং পরিবেশ সুরক্ষার ইত্যাদি মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গুলির ডিজাইন ও কাজ করেন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন শাখা রয়েছে।
যেমন: স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবহন ইঞ্জিনিয়ারিং, পানি সম্পদ ইঞ্জিনিয়ারিং, ভূতাত্ত্বিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পরিবেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতিটি শাখা কোনো না কোনো সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করা হয়। যেমন: শহুরে অঞ্চলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি করা ইত্যাদি।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি দক্ষতাই এবং সৃজনশীল দক্ষতা প্রয়োগ করে সমাজের বিভিন্ন কাজ করে থাকে। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলা কর রং জন্য টেকসই এবং শক্তিশালী অবকাঠামো নির্মাণ করে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক কে?
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক হলো জন স্মিটন (John Smeaton)।জন স্মিটন (John Smeaton) ছিলেন একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার এবং আধুনিক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সূচনা করেন জন স্মিটন।
জন স্মিটন (John Smeaton) মূলত ইডিস্টোন লাইটহাউস তৈরি করার জন্য বিখ্যাত লাভ করেন। তার উন্নত কাজ উন্নত বাঁধ নির্মাণ ( যেমন :প্যামেল বাওন্ড বাঁধ) ইত্যাদি।
জন স্মিটন (John Smeaton) প্রথম সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দটি আবিষ্কার করেন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে কি বুঝায়?
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো মানবসভ্যতার জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, তৈরি, ডিজাইন, রক্ষণাবেক্ষণ, সুরক্ষা তৈরি করার মাধ্যম।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মূল কাজ হলো নিরাপদ, কার্যকর এবং দীর্ঘস্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করা। যা মানবসভ্যতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ পরিকল্পনা, ডিজাইন, নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের প্রতিটি পর্যায়ের কাজ কার্যকরী সমাধান করতে হয় সাহায্য করে। সঠিক পরিকল্পনা ,বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপত্তা , কার্যকারিতা এবং টেকসইতা নিশ্চিত করাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বলছ।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ কি ?
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। অবকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা, ডিজাইন, নির্মাণ, এবং রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ হলো:
সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা ও ডিজাইন করে। যেমন সেতু, রাস্তা, ভবন, বাঁধ, জলবাহী ব্যবস্থা ইত্যাদি। তৈরি করার উদ্দেশ্য অনুযায়ী ডিজাইন তৈরি করা হয় । এই ডিজাইন অনুযায়ি কাঠামো নির্মাণ করা হয়।
কাঠামো তৈরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা কাঠামো পরিচর্যা করে। বিভিন্ন আলোচনা ও রিচার্স করে যাতে নির্মিত অবকাঠামো নিরাপদ ও স্থায়ী হয়।
কাঠামো তৈরি নির্মাণ করার সময় সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা নির্মাণ কার্যক্রম এর দায়িত্ব ও পরিচালনা করে থাকেন। যাতে কাঠামোর উপাদানের নির্বাচন, নির্মাণ পদ্ধতি, সময়সীমা এবং বাজেট পরিচালনার কাজ সঠিকভাবে হয়।
পুরানো বা ব্যবহৃত কাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দায়িত্বে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা করে থাকে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিররা অবকাঠামোর সমস্যা গুলি খুঁজে বের করে এবং তা ঠিক করার কাজ করেন।
পানি সরবরাহ, বর্জ্য জল নিষ্কাশন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ করে থাকন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিররা।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিররা সড়ক, রেলপথ, বিমানবন্দর, এবং জলপথের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা করেন । যাতে মানুষের যাতায়াত সুবিধা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
আরো পড়ুন: ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কী ? কিভাবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হবেন
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা
আপনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলে দুইটি মাধ্যমে পড়তে পারবেন।
১) এসএসসি (SSC) পর্যায়
২) এইচএসসি (HSC) পর্যায়
এসএসসি (SSC) পর্যায়
- এসএসসি পাশ করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য আপনি যেকোনো বিষয় নিয়ে এসএসসি পাশ করতে পারবেন। তবে ভালো ফলাফল পেতে হবে।
- এসএসসি পাশ করা পর ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য আপনাকে ডিপ্লোমা ইন্সিটিউটে এডমিশন নিতে হবে।
- ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি ৪ বছর মেয়াদি ডিগ্রি। ৪ বছরের মোট ৮ টি সেমিস্টার থাকবে।
এইচএসসি (HSC) পর্যায়
- এইচএসসি (HSC) পাশ করার পর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য আপনাকে এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো ফলাফল (৪.৫০-৫.০০) অর্জন করতে হবে। বিশেষ করে গনিত, পদার্থ , রসায়ন।
- এইচএসসি পাশ করার পর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন। যেমন: বুয়েট, কুয়েট, চুয়েট ইত্যাদি
- বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য মোট ৪ বছর সময় লাগবে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যৎ
মানুষের বসবাসের জন্য কাঠামো , অবকাঠামো ইত্যাদি অনেক প্রয়োজনীয়। এই সকল প্রয়োজনীয় কাজ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন করানো হয়। সময়ের সাথে উন্নত ও আধুনিক হচ্ছে সবকিছু। বিশেষ করে মানুষের বাসস্থান, পরিবেশ উন্নয়ন, শপিংমল , রেস্তোরাঁ ইত্যাদি। এইসকল কিছু সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে তৈরি বা নির্মাণ করা হয়। তাহলে ভাবুন ভবিষ্যৎ এবং ক্যারিয়ার হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব কত বেশি।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হওয়ার আগামী কারন গুলো হলো :
বিশ্বজুড়ে সব জায়গায় জনসংখ্যার হার দ্রুত বাড়ছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেমন: চীন,ভারত, বাংলাদেশ, আমেরিকা পাকিস্তান। এই সকল দে গুলো আরো কার্যকর, টেকসই এবং বসবাস যোগ্য করার জন্য নতুন নতুন কাঠামো তৈরি করার প্রয়োজন বাড়বে। সড়ক, সেতু, রেলপথ, বিমানবন্দর, এবং বন্দর ইত্যাদি উন্নয়ন ও আধুনিক করার জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা অনেক প্রয়োজন ও বাড়বে।
পরিবেশগত এবং বিভিন্ন সংকট ও দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য টেকসই ও সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যতে টেকসই উপকরণ ব্যবহার, শক্তি-সাশ্রয়ী ভবন নির্মাণ ইত্যাদি দিক গুলো উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে হবে। কেননা টেকসই নির্মাণ প্রযুক্তি এবং পরিবেশের সুরক্ষায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্যালারি
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্যালারি বিভিন্ন পর্যায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর নির্ভর করে। যেমন:
নতুন বা প্রথম পর্যায়: মাসিক বেতন ২৫,০০০-৪০,০০০ টাকা (আনুমানিক)
২-৫ বছরের অভিজ্ঞতা: মাসিক বেতন ৪০,০০০ – ৭০,০০০ টাকা (আনুমানিক)
৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা: মাসিক বেতন ৭০,০০০ – ১,২০,০০০ টাকা (আনুমানিক ) বা তারও বেশি হতে পারে।
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী বেতন ভিন্ন হতে পারে। আপনি যদি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে বাইরের দেশগুলোতে জব করেন তাহলে তার চেয়ে বেশি স্যালারি পেতে পারেন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সফটওয়্যার
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। ডিজাইন, বিশ্লেষণ, মডেলিং, এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের এর উপর নির্ভর করে ।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রয়োজন ও জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলো হলো:
- AutoCAD
- ETABS
- STAAD Pro
- SAP2000
- Revit
- Primavera P6
- Civil 3D
- SAFE
- PLAXIS
- Microsoft Project
- Abaqus
- Tekla Structures
- Prokon
- ArchiCAD
- Midas Civil
- CSiBridge
- GeoStudio
আরো পড়ুন : কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ? ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ সামগ্রী থাকে যাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস বলা হয়।
নিচে কিছু সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ম্যাটেরিয়ালসের নাম দেওয়া হলো:
- কংক্রিট
- সিমেন্ট
- বালি
- পাথর (Aggregates)
- স্টিল
- ইট
- মাটি (Soil)
- অ্যাসফাল্ট
- কাঠ
- গ্লাস
- অ্যালুমিনিয়াম
- প্লাস্টিক
- কাঁচ
- মার্বেল
- জিপসাম
- কম্পোজিট মেটেরিয়াল
- টাইলস
- কপার
- ব্রাস
- রাবার
এই ম্যাটেরিয়ালগুলো বিভিন্ন ধরনের কাজে যেমন: ভবন নির্মাণ, রাস্তা, ব্রিজ এবং বাঁধ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এস্টিমেট
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এস্টিমেট বলতে কোনো প্রকল্পের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় এবং সম্পদের প্রয়োজনীয়তার ধারনাকে বোঝায়। যেমন : কোনো কাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করার আগে পরে মোট খরচ এবং কত সময় লাগবে আগে থেকে তার একটি ধারণা।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল এস্টিমেট গুলো হলো:
- ম্যাটেরিয়াল এস্টিমেট
- লেবার এস্টিমেট
- মেশিনারি এস্টিমেট
- সময় এস্টিমেট
- খরচ
- ওভারহেড খরচ
- কন্টিনজেন্সি
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর এস্টিমেট তৈরি করতে Rate Analysis, Quantity Surveying এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার (যেমন AutoCAD, Excel, Primavera P6) ব্যবহার করা হয়।
ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রাথমিক পর্যায়ের কোর্স বা ডিগ্রি। ডিপ্লোমা ডিগ্রি সাধারণত ৪ বছর মেয়াদী হয় ।
ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সফলভাবে সম্পন্ন করার পর একটি ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করা যায় ।যা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার যোগ্য করে তোলে। ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল সুবিধা হচ্ছে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করার পর জব করতে পারবে।
ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা
সাধারণত ১০ম শ্রেণী (SSC) বা সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ ও কারিগরি থেকে পাশ করলে ভালো।
আপনি এইচএসসি (HSC) পাশ করে ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারবেন ৩য় সেমিস্টার থেকে।
ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ৪ বছরের। ৪ বছরে মোট ৮টি সেমিস্টার থাকবে। ১টি সেমিস্টার ৬ মাস করে।
FAQ’S
প্রশ্নঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ কি ?
উঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ হলো কাঠামো নির্মাণ, ডিজাইন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা। যেমন : সড়ক, সেতু, ভবন, জলাধার, পরিবহন ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ, বাড়ি , শপিংমল রেস্তোরাঁ ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস কি?
উঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস হলো কাঠামো তৈরি করার সময় প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন: মাটি,বালি , সিমেন্ট, কংক্রিট, ইট ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক কে?
উঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক হলো জন স্মিটন (John Smeaton)
প্রশ্নঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বাংলা কি?
উঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বাংলা হলো নাগরিক প্রকৌশল বা পুরকৌশল ।
প্রশ্নঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সফটওয়্যার
উঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সফটওয়্যার গুলো হলো:
1. AutoCAD
2. STAAD.Pro
3. ETABS
4. SAP2000
5. Revit
6. SAFE
শেষ কথা
আশা করি উপরোক্ত আর্টিকেল পড়ে আপনার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেসিক ধারনা হবে ।
উপরোক্ত আর্টিকেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়েছে।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।