১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ও ফি

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ও ফি

বর্তমান সময়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ই-পাসপোর্ট এর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে পাসপোর্ট এর ধারনা থেকে ই-পাসপোর্ট  চালু হয়েছে।

বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করেছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট চালু করেছে। যা নাগরিকদের আধুনিক সুবিধা ও নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।

বর্তমান সময়ে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যার ফলে আপনার সময় এবং শ্রম কম হবে।

আজকে এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ,১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি , ইত্যাদি।

ই-পাসপোর্ট কি?

ই-পাসপোর্ট হলো ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট। ই-পাসপোর্ট সাধারণ পাসপোর্ট এর মতো দেখতে হলেও এর মধ্যে ইলেকট্রনিক চিপ থাকে।

ই-পাসপোর্ট এর ইলেকট্রনিক চিপ এর মধ্যে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন – নাম, পাসপোর্ট নম্বর, জন্মতারিখ, ছবি এবং বায়োমেট্রিক তথ্য (যেমন: আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের স্ক্যান) কালেক্ট করা থাকে।

ই-পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনার তথ্য সহজেই  যাচাই বা ভেরিফাই করা যায়। যা পাসপোর্ট জালিয়াতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ই-পাসপোর্ট এর মধ্যে থাকা চিপটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্ক্যান করে তথ্য যাচাই করা যায়।

আধুনিক সময়ে আন্তর্জাতিক যাত্রায় নিরাপত্তা, সুরক্ষার জন্য ই-পাসপোর্ট এর গুরুত্ব অপরিসীম।

ই-পাসপোর্ট এর ধরন

বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চার ধরনের হয়ে থাকে, ই-পাসপোর্ট এর ধরন হলো:

১. ৪৮ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্ট (৫ বছরের মেয়াদি ই-পাসপোর্ট)

২. ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্ট (৫ বছরের মেয়াদি ই-পাসপোর্ট)

৩. ৪৮ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্ট (১০ বছরের মেয়াদি ই-পাসপোর্ট )

৪. ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্ট (১০ বছরের মেয়াদি ই-পাসপোর্ট)

এই তিন ধরনের ই-পাসপোর্ট বিভিন্ন প্রয়োজনে এবং চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়।

কেন ই-পাসপোর্ট তৈরি করবেন?

ই-পাসপোর্ট তৈরি করা বর্তমান সময়ে ব্যবহার করা অনেক সুবিধাজনক। যেমন: নিরাপত্তা, তাড়াতাড়ি ইমিগ্রেশন করা ,ডিজিটাল তথ্য কালেক্ট করা, দীর্ঘমেয়াদী বৈধতা(বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ সাধারণত ১০ বছর)।

উপরোক্ত সুবিধা গুলোর কারণে ই-পাসপোর্ট তৈরি করা  আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত উপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও বায়োমেট্রিক প্রয়োজন হয়। নিচে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা দেওয়া হলো:

জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)

জন্ম সনদ ( বয়স ১৮ বছর এর কম হলে)

আগের পাসপোর্ট (যদি থাকে)

আবেদন ফর্ম (১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য  আবেদন ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। অনলাইনে  ফর্ম পূরণ করা এবং তা পরে প্রিন্ট করে জমা দিতে হবে এবং ফর্মে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পাসপোর্ট নির্বাচন করতে হবে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ৪৮ বা ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের সিলেক্ট করবেন)

পাসপোর্ট ফি পরিশোধের স্লিপ

বিদ্যুৎ বিলের কপি

পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি (যদিও ই-পাসপোর্ট আবেদন অফিসে ছবি সরাসরি তোলা হয়)

প্রয়োজনীয় বায়োমেট্রিক তথ্য হিসেবে (আঙ্গুলের ছাপ, চোখের মনি (আইরিশ) স্ক্যান)

উপরোক্ত ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার পর  ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হবে। এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।

আরো পড়ুন : পাসপোর্ট তৈরি করতে কী কী প্রয়োজন

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করা যায়। আপনি খুব সহজেই কিছু তথ্য দিয়ে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন। তবে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে আপনাকে সঠিকভাবে করতে হবে। কেননা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন করার সময় ভুল হলে, তা সংশোধন করতে অনেক ঝামেলার।

নিচে দেখানো হলো আপনি কিভাবে সঠিকভাবে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন:

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করার আপনার সামনে অনেক গুলো অপশন শো করবে। Apply Online for e‑Passport / Re‑Issue  অপশনে ক্লিক করতে হবে।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন

অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে নতুন আরেকটি পেইজ শো করবে। যেখানে Check availability of e‑Passport in your region অপশন শো করবে।

Are you applying from Bangladesh? নিচে দুইটা অপশন শো করবে Yes, No। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান তাহলে yes সিলেক্ট করবেন এবং আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন না করেন তাহলে No সিলেক্ট করবেন।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন করেন তাহলে, Select District of your present address  অপশন থেকে আপনার বর্তমান ঠিকানা সিলেক্ট করতে হবে। যেমন: আপনার বর্তমান ঠিকানা যদি ঢাকা হয় , তাহলে আপনি ঢাকা সিলেক্ট করবেন।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন করার পর কি করতে হবে

বর্তমান ঠিকানা সিলেক্ট করার পর Select the police station nearest to your present address থেকে আপনার বর্তমান ঠিকানার কাছাকাছি পুলিশ স্টেশন সিলেক্ট করতে হবে। যেমন: আপনার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা, আপনি যে জায়গায় থাকেন তার কাছাকাছি পুলিশ স্টেশন সিলেক্ট করবেন।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন

এরকম Continue অপশনে ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর নতুন একটি পেইজ শো করবে। যেখানে আপনাকে একটি ইমেইল একাউন্ট দিতে হবে। ইমেইল একাউন্ট দেওয়ার পর I am Human অপশনে ক্লিক করে Continue অপশনে ক্লিক করতে হবে।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন

এরপর আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

একাউন্ট তৈরির করার পর অনলাইন আবেদন ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফর্ম টি সিলেক্ট করতে হবে। ফর্ম সিলেক্ট করার পর ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীর  ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন: নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ইত্যাদি তথ্য সঠিক ভাবে দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে।

ফর্ম পূরণ করার পর ফর্মটি সাবমিট করতে হবে। ফরম সাবমিট করার পর ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট এর মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট এর ফি অনলাইনে ব্যাংক কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং, বিকাশ,নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট এর ফি জমা দেওয়ার অনুমোদিত ৫ টি ব্যাংকের (যেমন: সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) মধ্যে যেকোনো একটি ব্যাংকে ফি জমা দিয়ে স্লিপ টি কালেক্ট করে নিতে পারবেন।

সবকিছু সঠিকভাবে করার পর ফাইনাল সাবমিট করতে হবে। ফাইনাল সাবমিট করার পর আপনার দেওয়া সমস্ত তথ্য গুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভার সেভ হয়ে যাবে।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন করার পর কি করতে হবে ?

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পর ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করবেন।

এরপর নির্ধারণ করা তারিখে পাসপোর্ট ফি স্লিপ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে ভিজিট করবেন।

পাসপোর্ট অফিসে ভিজিট করার পর আপনার ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি  গ্ৰহনের শেষে পাসপোর্ট কালেক্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বা স্লিপ দেওয়া হবে।

এরপর আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজ করে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসতে পারবেন।

পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রথম কাজ হচ্ছে ভালোভাবে পাসপোর্টের তথ্য যাচাই করা। যেমন: আপনার নাম, জন্মতারিখ, এনআইডি নম্বর ইত্যাদি। যদি পাসপোর্টে  কোনো ধরনের ভুল হয় তাহলে, পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন বা পাসপোর্ট সংশোধন এর জন্য আবেদন করুন।

আরো পড়ুন : পাসপোর্ট সংশোধন করার নতুন নিয়ম

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফরম

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফরম পাওয়া জন্য আপনাকে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।

আপনি চাইলে সরাসরি এই লিংকে ক্লিক করে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফরম পাবেন।এই লিংকে ক্লিক করার পর নতুন একটি পেইজ শো করবে। যেখানে Step 2: Fill in your e-Passport application online  নিচের here অপশনে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফরম শো করবে।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফরম

আপনার যদি ওয়েবসাইটে একাউন্ট না থাকে তাহলে আগে আপনাকে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফরম পাবেন। উপরের দেওয়া লিংকের মাধ্যমে।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফরমে আপনাকে বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। যেমন:

ব্যক্তিগত তথ্য :  আপনার পূর্ণ নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্ম তারিখ, জন্ম স্থান, লিঙ্গ, জাতীয়তা ইত্যাদি ।

ঠিকানা তথ্য: স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা ।

পাসপোর্টের ধরন নির্বাচন : ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট  নির্বাচন করার জন্য এই অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এবং ফরমে ৪৮ বা ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের জন্য অপশন থাকবে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পৃষ্ঠা সিলেক্ট করে নিবেন ।

জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) তথ্য: এনআইডি নম্বর

পূর্বের পাসপোর্টের তথ্য (যদি থাকে), মোবাইল নম্বর বা ইমেইল, ইত্যাদি

আরো পড়ুন : সহজ নিয়মে পাসপোর্ট চেক

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট  ফি নির্ভর করে ই-পাসপোর্ট  এর পৃষ্ঠা, কত বছর মেয়াদি এবং ডেলিভারি সময়ের উপর। সাধারণত ই-পাসপোর্ট ৪ ধরনের হয়ে থাকে। ৪ ধরনের ই-পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা, মেয়াদ এবং ডেলিভারি সময়ের উপর নির্ভর করা হয় ই-পাসপোর্ট এর ফি।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি হলো:

১. ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি

  • সাধারণ ডেলিভারি: ৫,৭৫০ টাকা
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৮,০৫০ টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১০,৩৫০ টাকা

২. ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি

  • সাধারণ ডেলিভারি: ৮,০৫০ টাকা
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১০,৩৫০ টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১৩,৮০০ টাকা

৩. ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি

  • সাধারণ ডেলিভারি: ৪,০২৫ টাকা
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৬,৩২৫ টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৮,৬২৫ টাকা

৪. ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি

  • সাধারণ ডেলিভারি: ৬,৩২৫ টাকা
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৮,৬২৫ টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১২,০৭৫ টাকা

FAQ’S

প্রশ্নঃ ই-পাসপোর্টের মেয়াদ কতদিন থাকে?

উঃ ই-পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ অথবা ১০ বছরের জন্য হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায় কি?

উঃ হ্যাঁ, ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। বাংলাদেশ পাসপোর্ট ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফর্ম পূরণ করে ফি পরিশোধ করতে হবে।

প্রশ্নঃ ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত সময় লাগে?

উঃ সাধারণত ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে নিয়মিত পাসপোর্টের জন্য ২১ দিন, জরুরি ৭ দিন এবং সুপার জরুরি ২ দিন সময় লাগে।

প্রশ্নঃ ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

উঃ সাধারণত সাধারণ সময়ে মধ্যে যৈ ই-পাসপোর্ট দেওয়া হয়,এই সময় অনুযায়ী ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি ৪,২০০ টাকা।

প্রশ্নঃ ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?

উঃ ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ও ডকুমেন্ট প্রয়োজন। যেমন: পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, জন্ম সনদ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সনদের ফটোকপি, সদ্য  ছবি, আবেদন ফি জমা দেওয়ার রসিদ, বিদ্যুৎ বিল, মোবাইল নম্বর বা ইমেইল ঠিকানা ।

শেষ কথা

আশা করি উপরোক্ত আর্টিকেল পড়ে আপনি খুব সহজেই ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন।

ই-পাসপোর্ট আবেদন করার সময় সকল তথ্য সঠিকভাবে দিবেন, তা নাহলে পাসপোর্টের তথ্য ভুল আসবে। তথ্য ভুল আসলে বিভিন্ন সমস্যা হয় এবং পাসপোর্ট সংশোধন করতে অনেক ঝামেলার ব্যাপার।

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *