ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কী? কিভাবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হবেন‌

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কী ? কিভাবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হবেন‌

চীন,জাপান , লন্ডনের মতো বড় বড় দেশ গুলো এগিয়ে আছে কারিগরি শিক্ষার কারনে ( হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া কে কারিগরি শিক্ষা বলা হয়)।

কারিগরি শিক্ষা অর্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং। বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা।

বিশ্বের সমস্ত দেশে কারিগরি শিক্ষা কে অনেক মর্যাদা ও গুরুত্ব দেওয়া হয়। আজকে এই আর্টিকেল আমরা জানবো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কী ? ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কীভাবে হবেন?

Table of Contents

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কি?

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং হল মাধ্যমিক প্রযুক্তি শিক্ষা। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ৩-৪ বছর মেয়াদি কোর্স।  এই কোর্সে শিক্ষার্থীরা যেকোনো প্রকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে পড়তে পারে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে পারে । অথবা উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য  বিএসসি করতে পারে। কিংবা একই সঙ্গে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও কাজ করতে পারে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল লক্ষ্য হলো  শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কর্ম মর্যাদা অনেক।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট সমূহ

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারি পড়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সাবজেক্ট বা সেক্টর রয়েছে। কিছু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাবজেক্ট সমূহের নাম হলো:

১) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

২) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

৩) ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

৪) কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং

৫) ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং

৬) পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং

৭) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

৮) আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি

আরো পড়ুন : কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ? ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বা  ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সেক্টর বা সাবজেক্ট। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা কাঠামো, বাড়ি,ভবন, সড়ক, সেতু, টানেল ইত্যাদি নির্মান রক্ষণাবেক্ষণ ও নকশা বা ডিজাইন তৈরি করে থাকে।

একটি ভবন বা কাঠামো কেমন দেখতে হবে? কতটুকু পরিমাণ জায়গায় ভবনটি তৈরি করা হবে ? ভবনটি কত তালা নির্ম করতে পারবে? ইত্যাদি দিক দেখাশোনা করে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারি হলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বা  ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সেক্টর বা সাবজেক্ট। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা কোনো মেশিন বা যন্ত্রপাতির ডিজাইন, উৎপাদন, এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন ধরনের মেশিন কিংবা যন্ত্রপাতি যেমন : অটোমোবাইল, গাড়ি, বিমান, এয়ার কন্ডিশন ইত্যাদির ডিজাইন, উৎপাদন, ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। অনেক অনেক ক্ষেত্রে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা শক্তি উৎপাদন কাজে জড়িত থাকে।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সেক্টর। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করে এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস তৈরি, নকশা, উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কাজ করে।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা ডিজিটাল যুগের অনেক ভূমিকা পালন করে যেমন : বিদ্যুৎ সরবরাহ, যোগাযোগ ব্যবস্থা,টেলিকমিউনিকেশন,ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক্স এবং নতুন নতুন আধুনিক প্রযুক্তি তৈরি করে থাকে।

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সেক্টর। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার কম্পিউটার সিস্টেম এর উপরে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করে থাকে।

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা কম্পিউটার সিস্টেম ও কম্পিউটার মেশিন বা যন্ত্রপাতি তৈরি ,ডিজাইন, উৎপাদন, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছু কাজ যেমন: হার্ডওয়্যার প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং, সাইবার সিকিউরিটি ইত্যাদি।

ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সেক্টর। ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়াররা  ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এবং সার্কিটের ডিজাইন, রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কাজ করে।

ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়াররা কিছু ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যেমন: ট্রানজিস্টর , সার্কিট, জেনারেটর, ডিসি,  ডায়োড ,অ্যানালগ ইত্যাদি।

পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সেক্টর। পাওয়ার ইঞ্জিনিয়াররা  বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কাজ করে।

পাওয়ার ইঞ্জিনিয়াররা বিদ্যুৎ সরবরাহ উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করে। পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ গুলো যেমন:  বিদ্যুৎ সরবরাহ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন, বিদ্যুৎ বন্টন, ইত্যাদি।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সেক্টর।টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা কাপড় উৎপাদন, ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কাজ করে।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা টেক্সটাইল পণ্যের ডিজাইন, উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিশেষ ভাবে কাজ করে।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ গুলো যেমন: গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং( পোশাক তৈরি) , ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং(সুতা তৈরি),ফ্যাব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং (বুনন করে কাপড় তৈরি) ইত্যাদি।

আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সেক্টর। আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা ভবন বা কাঠামোর নির্মান ডিজাইন বা নকশা তৈরি করে।

আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা একটি ভবন বা  কাঠামো নির্মাণের সময় সবদিক বিবেচনা করে ভবনের ডিজাইন বা নকশা তৈরি করে। আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছু কাজ যেমন: ভবন সার্ভিস,স্ট্রাকচারাল, ফুটিং, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি।

অনেকেই মনে করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং একই। আসলে তা নয় আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা ভবন বা কাঠামোর নকশা তৈরি করে দেয় । সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা ভবন বা কাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কাজ করে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য যোগ্যতা হলো:

• ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য আপনাকে নূন্যতম SSC পাশ করতে হবে। আপনি যে কোনো বিষয়ের উপর এসএসসি পাশ করতে পারেন। তবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা ভোকেশনাল নিয়ে এসএসসি পাশ করে।

• ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য এসএসসি তে নূন্যতম ৩.৫০ -৪.০০ এর মধ্যে পেতে হবে। বিশেষ করে গনিতে ভালো নম্বর থাকতে হবে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। মেয়েরা ৩.০০ পেয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারবে।

• HSC পাশ করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে। HSC পাশ করার পর ডিপ্লোমা ৩য় সেমিস্টার থেকে পড়তে পারবে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কত বছর সময় লাগে?

বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুযায়ী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ৪ বছর সময় লাগে। এই  ৪ বছরে মোট ৮ টি সেমিস্টার রয়েছে। ১ টি  সেমিস্টার ৬ মাস করে পড়তে হয় এবং প্রত্যেক সেমিস্টার শেষে সেমিস্টার ফাইনাল দিতে হয়।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কিসের সমান

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কে উচ্চ মাধ্যমিক অর্থাৎ HSC পর্যায়ের সমতুল্য। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পূর্ণ করার পর শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে বিভিন্ন কম্পানি তে  কাজ করে।কিংবা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করে থাকে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে দুইটি বিষয়ের উপর পড়ার খরচ নির্ভর করে।

  • সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর পড়ার খরচ

সরকারি পলিটেকনিক মানেই সরকার  খরচ বহন করবে। সরকারি পলিটেকনিকের  সাধারণত খরচ হলো: প্রত্যেক সেমিস্টার ফি, প্রত্যেক সেমিস্টারে পরিক্ষার ফি, প্রত্যেক সেমিস্টারে বই কিনা।

নিম্নের খরচ সমূহ থাকা খাওয়া বাদে।

প্রত্যেক সেমিস্টার রেজিস্ট্রেশন ফি =  ২১০০ – ২৩০০ টাকা(আনুমানিক)

প্রত্যেক সেমিস্টারে বই এর খরচ = ১৩০০ – ১৫০০ টাকা ( আনুমানিক)

বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর পড়ার খরচ

বেসরকারি পলিটেকনিকের  সাধারণত খরচ হলো: প্রত্যেক সেমিস্টার ফি, প্রত্যেক সেমিস্টারে পরিক্ষার ফি, প্রত্যেক সেমিস্টারে বই কিনা। নিম্নের খরচ সমূহ থাকা খাওয়া বাদে।

প্রত্যেক সেমিস্টার ফি ও প্রত্যেক সেমিস্টারে পরিক্ষার ফি = ১২০০০-১৩০০০ (আনুমানিক)।

প্রত্যেক সেমিস্টারে বই ফি = ১৩০০ – ১৫০০ টাকা ( আনুমানিক)

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এরপর বিএসসি কত বছর?

৪ বছর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পরে প্রায় এক বছর পর বিএসসি জন্য প্রস্তুত হতে হয়। উচ্চ পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ডিপ্লোমার পরে বিএসসি করা হয়। এখন‌ প্রশ্ন হলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পরে বিএসসি করতে কত সময় বা বছর লাগবে?

বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ৪ বছর সময় লাগে। ৪ বছর মোট ৮ টি সেমিস্টার থাকবে। প্রত্যেক সেমিস্টারে সেমিস্টার ফাইনাল দিতে হবে।

আপনি যে বিষয়ের উপর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন ঐ বিষয়ের উপর বিএসসি করতে পারবেন।

সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশে প্রায় প্রত্যেক জেলায় সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। তার মধ্যে কিছু সরকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর নাম উল্লেখ করা হলো:

  • ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মধ্যে কিছু পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর নাম সমূহ হলো:

  • সি সি এন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট
  • আলফা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • কুমিল্লা প্রাইভেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • দেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • কক্সবাজার মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • শ্যামলী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম
  • চাদপু্র ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট
  • আইডল প্রাইভেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • ফেনী আইডল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • ইসলামীক ব্যাংক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি

FAQ’S

প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কিসের সমমান?

উঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের(এসএসসি এবং এইচএসসি) সমান।

প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বেতন কত?

উঃ বাংলাদেশে একজন নতুন ডিপ্লোমা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতন প্রায় ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা (আনুমানিক )পর্যন্ত হতে পারে।

প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?

উঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং হলো মাধ্যমিক প্রযুক্তি শিক্ষার ৩-৪ বছর মেয়াদি কোর্স।

প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পর বিএসসি কত বছর?

উঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পর বিএসসি ৪ বছর।

প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর গ্রেড কত?

উঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর গ্ৰেড সেমিস্টার রেজাল্ট এর উপর নির্ভর করে।

১) অতি উত্তীর্ণ (A+): ৮০% – ১০০% (গ্রেড পয়েন্ট ৪.০০)
২) A: ৭০% – ৭৯% (গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫০ – ৩.৯৯)
৩) B+: ৬০% – ৬৯% (গ্রেড পয়েন্ট ৩.০০ – ৩.৪৯)
৪) B: ৫০% – ৫৯% (গ্রেড পয়েন্ট ২.৫০ – ২.৯৯)
৫) পাশ (C): ৪০% – ৪৯% (গ্রেড পয়েন্ট ২.০০ – ২.৪৯)
৬) ফেল (F): ৪০% এর নিচে (গ্রেড পয়েন্ট ০.০০ – ১.৯৯)

প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মেয়াদ কত?

উঃ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মেয়াদ হলো ৪ বছর। ১ বছরে ২ টি সেমিস্টার। ১ টি সেমিস্টার ৬ মাস করে।

শেষ কথা

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করে আপনি সুন্দর একটি ক্যারিয়ার‌ গড়তে পারবেন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং হাতে কলমে শিক্ষা দেয় ফলে চাকরি পাওয়া সহজ হয়। এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির‌ বাজারে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক কম। আবার, কম সময়ে চাকুরী করতে চাইলেও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বেস্ট অপশন আপনার জন্য।

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *